
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু—এমন দাবি তুলেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। তবে …
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও …
গত বৃহস্পতিবার রাতে আহত অবস্থায় …
সরকার পতনের আগের রাতে গোয়েন্দা …
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনায় …
২০২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর, বুধবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সদস্যপদের প্রার্থী মো. সজীব হোসাইন ভোটের ফলাফল নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। শহীদুল্লাহ হলের এই শিক্ষার্থী মধুর ক্যানটিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে তার এলাকার পরিচিত মো. সম্রাট ইসলামকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, সম্রাট ইসলাম ওই হলে একটিও ভোট পাননি, যা সজীবের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “তাহলে আমার ভোট কোথায় গেল?” সজীব হোসাইনের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে সজীব জানান, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক নন এবং তিনটি পদে বিভিন্ন প্যানেলের তিনজন প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। গত রাতে তিনি শুনেছেন যে জিএস পদে তার ভোট দেওয়া প্রার্থী শহীদুল্লাহ হলে কোনো ভোট পাননি। তিনি দাবি করেন, “ব্যালট বাতিল হলে তার কারণ উল্লেখ করা উচিত। আমি জানি কীভাবে ভোট দিতে হয়, তাই আমার ব্যালট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা কম।” তিনি প্রশাসনের কাছে স্পষ্ট জবাব দাবি করেন, বলেন, “যদি ব্যালট বাতিল হয়, তা দেখাতে হবে। নইলে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর সত্যতা আমার এই ঘটনায় প্রমাণিত হবে।” শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করলে, আমার ব্যালট দেখানো হোক। তাহলে আমি তা মেনে নিতে প্রস্তুত।” রাকিব হোসেনের অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাকিব হোসেনও সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই প্রশাসনের কার্যক্রম নিরপেক্ষতার মানদণ্ড পূরণ করেনি। নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, মো. সজীব হোসাইন কেন্দ্রীয় সদস্যপদে ৮২৭ ভোট পেয়েছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সম্রাট ইসলাম ২৪ ভোট এবং রাকিব হোসেন ৫৬৯ ভোট পেয়েছেন। এই ফলাফল নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ডাকসু নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখনও ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। মোদি লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আবেগপ্রবণ ও ইতিবাচক মূল্যায়নের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং আমরা এর পূর্ণ প্রতিদান দেব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ভবিষ্যৎমুখী ও সর্বাত্মক বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করার পর মোদি এই মন্তব্য করেন। এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে, অভিযোগ করে যে, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ক্রয়ের মাধ্যমে নয়াদিল্লি ইউক্রেনে মস্কোর হামলায় পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। তবে, ট্রাম্প ও মোদি উভয়েই জনতুষ্টবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত এবং ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকেই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সবসময় মোদির বন্ধু থাকবেন। যদিও তিনি আগে মন্তব্য করেছিলেন যে, ভারত চীনের কাছে হাতছাড়া হয়ে গেছে, পরে তিনি সুর নরম করে বলেন, “ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।” গত সপ্তাহে মোদি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে অংশ নিতে চীনে সফর করেন, যা সাত বছরের মধ্যে তাঁর প্রথম চীন সফর। এই সফর ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা উষ্ণতার ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে, এটি ট্রাম্পকে বিরক্ত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব নিতে চান। তিনি এই প্রচেষ্টাকে “নোবেল পাওয়ার মতো কূটনীতি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে, যা ট্রাম্পের ক্ষোভের কারণ হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশসহ কিছু দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। …
আমাদের ভবিষ্যতের আপডেটগুলি মিস করবেন না! আজই সাবস্ক্রাইব করুন!
©2025. All Rights Reserved.